খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ঢাকা

খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ঢাকা

ছয় দলের টুর্নামেন্টে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সিলেট সানরাইজার্সের। সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বাকি ৪ দলের মধ্যে প্লে-অফের টিকিট পাবে ৩টি দল। শেষ মুহূর্তে এই টিকিট নিশ্চিত করতে দলগুলোর মধ্যে চলছে জমজমাট লড়াই। আজ (বুধবার) মুখোমুখি দেখায় খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সে লড়াই আরো জমিয়ে তুললো মিনিস্টার ঢাকা।

সিলেটে আগে ব্যাট করে সিকান্দার রাজার অর্ধশতকের পরও ১২৯ রানে থামে খুলনা। তাদের জবাব দিতে নেমে শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট প্রচেষ্টায় ৫ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে জয় পায় ঢাকা। এ জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে গেছে ঢাকা। ১ ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন থেকে চারে নেমে গেছে খুলনা।

খুলনার দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। দলীয় ১২ রানেই বিদায় নেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরানউজ্জামান। ৬ রান করে নাবিল সামাদের বলে আউট হন অভিজ্ঞ তামিম। সমান ৬ রানে খালেদের শিকার হন ইমরান। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক রিয়াদ, সঙ্গে যোগ দেন জহুরুল ইসলাম। দেখেশুনে খেলে দুজন গড়েন ৫৭ রানের জুটি। রুয়েল মিয়ার বলে জহুরুল ৩০ রানে বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি।

জয়ের দিকে ছুঁটতে থাকা ঢাকা খানিক হোঁচট খায় রিয়াদের বিদায়ে। ২৫ বলে যখন দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন, তখন পেরেরাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক। একটি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৪ রান করেন। নতুন ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ব্যাট চালিয়ে খেলেন পেরেরার দ্বিতীয় শিকার হন ১৪ বলে ২৫ রান করে। পরে শুভাগত হোম আর আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে জয় পায় ঢাকা। ৫ উইকেটে পাওয়া জয় শুভাগত ৯ বলে ১৮ এবং আজমতউল্লাহ ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি খুলনার। গত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা সৌম্য সরকার আর তার ওপেনিং সঙ্গী আন্দ্রে ফ্লেচার আজ সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জাতীয় দলের সতীর্থ রুবেল হোসেনের বলে আউট হন সৌম্য। ৩ বলে করেন ১ রান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফেরেন ফ্লেচার। আরাফাত সানির বলে আউট হন ৬ রানে। দুই ওপেনারের মাঝে রান আউটে কাটা পড়েন ৫ রান করা জাকের আলি অনিক।

সুবিধা করতে পারেননি ইয়াসির আলি রাব্বি। সানির দ্বিতীয় শিকার হন রানের খাতা খোলার আগেই। দলীয় ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খুলনা যখন দিশেহারা, তখন বিপর্যয় সামলানোর দায়িত্ব বর্তায় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও শেখ মেহেদী হাসানের কাঁধে। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করছিলেন দুজনই। তবে অধিনায়ক মুশফিক সে দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারেননি। ফেরেন সমান ১২ বলে ১২ রান করে। মেহেদীও একই পথ ধরেন ১৭ রানে।

এরপর একাই লড়াই করেন সিকান্দার রাজা। অর্ধশতক হাঁকানো জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার খেলেন ৫০ বল ৬৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যেখানে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন রাজা। সঙ্গে থিসারা পেরেরা ১০ বলে ১২ ও রুয়েল মিয়ার ৯ বলে অপরাজিত ৮ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৯ রান। ঢাকার পক্ষে আরাফাত সানি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন